এপ্রিল ২৯, ২০২০
বেনাপোল-পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক
বেনাপোল প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ও ভারতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন বিধি নিষেধ জারি রয়েছে। তারই জেরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকার অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। বেনাপোলে নেই কোনো শিল্প-কারখানা। বেনাপোল স্থলবন্দর ঘিরে জীবিকার জন্য নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষ। এই পথে আমদানি-রফতানি দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকায় রোজগারে টান পড়েছে শ্রমিকদের। স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল-পেট্রাপোল। একই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কয়েক শ’ এনজিওকর্মীরও একই অবস্থা। ভারত দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সিংহভাগ পণ্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আপাতত বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত এলাকার মানুষ করোনা নয়, রুজি-রুটি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন।
গত ২২ মার্চ ভারতে কারফিউ থাকায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৩ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দেয় ভারত। এর মধ্যে ২৩ মার্চ রাতে হঠাৎ ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তার সময়সীমা ছিল গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর আবারও বাড়ানো হয় লকডাউনের সময়সীমা, যা এখনও চলছে। কবে উঠবে লকডাউন তাও কেউ বলতে পারছেন না।
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ভারতে দফায় দফায় লকডাউন ঘোষণা করায় সব ধরনের আমদানি-রফতানিসহ সীমান্ত-বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে করোনার আতঙ্কের জেরে স্থলবন্দর এলাকার অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পণ্য বোঝাই কয়েক হাজার ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দীর্ঘদিন পড়ে আছে। সেগুলোকে সঠিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশে পাঠিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায় কি-না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা চলছে।
বেনাপোল আমদানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এতটাই ভয়ংকর যে, সীমান্ত সিল করে দিয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে। পাশাপাশি এর প্রভাবও ব্যবসা বাণিজ্যে পড়েছে। এখনই ক্ষতির মুখ দেখতে শুরু করেছে ভারত-বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানিকারকরা। ক্ষতি কাটিয়ে নিতে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। 8,555,964 total views, 6,570 views today |
|
|
|